মাদকব্যবসার টাকা নিয়ে সংঘর্ষে ভারতীয় নাগরিক নিহত

পাওনা টাকার জেরে বাংলাদেশ ও ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে সংঘর্ষে আলিম উদ্দিন নামে এক ভারতীয় নাগরিক নিহত হয়েছে। এ সময় উভয় দেশের অন্তত ৪ জন নাগরিক আহত হন। আহতদের মধ্যে বাংলাদেশের দুই নাগরিক ও ভারতীয় দুই নাগরিক রয়েছেন।

বিজিবির ভাইগড় কম্পানি কমান্ডার সুবেদার শওকত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।শুক্রবার দুপুরে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার জামালপুর সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আলিম উদ্দিন ভারত সীমান্তের জামালপুর গ্রামের হরমুজ আলীর ছেলে।
আহতরা হলেন, বাংলাদেশ অংশের বিরামপুর উপজেলার ২নং কাটলা ইউপি সদস্য ও দক্ষিণ দাউদপুর গ্রামের মৃত মহির উদ্দিন কবিরাজের ছেলে মইনুল ইসলাম (৩৫) ও তার বড়ভাই মমিনুল ইসলাম (৪৫) এবং ভারতীয় অংশের জামালপুর গ্রামের আলম হোসেন ও আছিরুল ইসলাম।

এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে ওই এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)ও বার্ডারগার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ভারতের ১৯৯ ব্যটালিয়নের কমান্ডার অজয় কুমার তিওয়াড়ী ও বিজিবি ২০ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. আবু নাঈম খন্দকার, ভাইগড় বিজিবি কম্পানি কমান্ডার সুবেদার শওকত হোসেন ও দাউদপুর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার হেলাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় উভয় দেশের জড়িতদের তালিকা করে শাস্তির আওতায় আনা ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উভয়দেশের নাগরিকদের শান্ত থাকতে বলা হয়।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার বিরামপুর উপজেলার দক্ষিণ দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা মানিক ইসলামের সঙ্গে ভারতের আলিম উদ্দিনের মাদকব্যবসার টাকা পাওনা নিয়ে বাক-বিতণ্ডা হয়। শুক্রবার ভারতীয় সীমানার শুণ্য রেখায় নির্মিত মসজিদে জুমার নামাজের সময় আবারো বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ দেশি অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এ সময় আলিম উদ্দিনের মৃত্যু হয় এবং কমপক্ষে ৪ জন ব্যক্তি আহত হয়।

২০ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর নাঈম বলেন,সীমান্তে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় উভয়দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় নতুন করে যেন কোনো ধরণের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হয়েছে।